আলহামদুলিল্লাহ। অবশেষে প্রিয় শহর কলকাতায় এসে পৌঁছুলাম। কলকাতা ভ্রমণ আমার জন্য বরাবরই রোমাঞ্চকর। পৌরাণিক এই শহরের অলিতে-গলিতে ঢুঁ মারলেই চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠে ইতিহাস। হাত বাড়ালেই যেন সহজেই ছুঁয়ে নেওয়া যায় ইতিহাসের প্রিয় সব চরিত্রগুলো। ঐতিহ্যের এই শহর বুঝি নীরবেই শুনিয়ে যায় তার হারানো রূপকথা। এখানে নিভৃতে রবি ঠাকুর থেকে প্রিয় নজরুলের কবিতার ঝংকার কিংবা হঠাৎ সুভাস চন্দ্র বোসের দৃঢ় দেশপ্রেমের দীপ্ত শপথবাক্য সব যেন বাতাসের কলতানে চেপে স্পর্শ করে যায় কর্ণদেশ। হ্যাঁ৷ এতটাই মোহনীয় রূপে অপরূপ কলকাতা আমার কাছে। তবে বাপু, একটা কথা না বললেই নয়। এবারের কলকাতা ভ্রমণের আনন্দ আর উদ্দীপনা আমার জন্য অনন্য এবং অসাধারণ। আলহামদুলিল্লাহ। তার কারণ, এই কলকাতার ট্রামের উচ্ছ্বাসের সাথে এবারে আমার হৃদের আনন্দ গান যে মিলেমিশে গিয়েছে এক তালে। কেন বলছি এমন তাইতো? বলছি, তবে। এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না যে, লেখক হিসেবে নিজের বই প্রকাশ হবার আনন্দ হয় অতুলনীয়। যে কোন লেখকের জন্যই এ হয় এক অবিস্মরণীয় ক্ষণ। আর প্রিয় শহরে এই অনন্য হর্ষ স্রোতে আমি সাঁতরে নিতে যাচ্ছি খুব শিগগিরই। প্রিয় “উদার আকাশ” প্রকাশনার হাত ধরে এই প্রাণের শহরে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে আমার গল্প সংকলন “বিস্তীর্ণ জলছবি”। আলহামদুলিল্লাহ। বিশটি ছোটগল্প দিয়ে সাজানো এই বইটি আশাকরি পাঠক প্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হবে। জীবনের ছোট ছোট অনুভূতি দিয়ে সাজানো এই বইটি সবাইকে জীবন নিয়ে নতুন করে ভাবিয়ে তুলবে ষোলআনা। অনন্য এই প্রাপ্তি সুখে আমি আপ্লুত এবং অভিভূত। অপেক্ষায় রয়েছি, আরও একটি সন্তানকে হাতে তুলে নেবার জন্য। ইনশাআল্লাহ। এবং সেই সঙ্গে আমাকে অনন্য এই সুযোগটি করে দেবার জন্য “উদার আকাশ” প্রকাশনার শ্রদ্ধেয় প্রকাশক এবং সম্পাদক ফারুক আহমেদ ভাইকে জানাই অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
previous post